বিয়ের অনুষ্ঠানে ছয় বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করল এক ব্যক্তি৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়েছে৷
নাবালিকার মুখে নখের আঁচড়ের দাগ মিলেছে৷ তার মাথাতেও আঘাত করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে দুষ্কৃতী নাবালিকার গলাও টিপে ধরেছিল৷ সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়৷ অভিযুক্ত ওই নাবালিকার মামা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ এরপরেই পুলিশ তাকে রিচা রোড রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বহেড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা তার মায়ের সঙ্গে দেবরানিয়া থানা এলাকায় বৈকর শাহপুর গ্রামে তার মাসতুতো দিদির বিয়েতে আসে৷ বুধবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই নাবালিকা অন্য বাচ্চাগের সঙ্গে খেলছিল৷ হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে গেলে তাঁর খোঁজ শুরু হয়৷ কিছু লোক জানায় কৃষ্ণপাল নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে দেখা গিয়েছিল৷ এরপরেই আত্মীয়রা নাবালিকার খোঁজ শুরু করে৷
গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি গমের ক্ষেতে অজ্ঞান অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়৷ তার জামাকপড় ছেঁড়া ছিল এমনকি তার শরীর থেকে রক্ত বেরহচ্ছিল৷ রাতেই নাবালিকার পরিবার তাকে নিয়ে থানায় যায়৷ নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কৃষ্ণপালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়৷
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসদের প্যানেল ওই শিশুর চিকিৎসা করে৷ ডাক্তাররা জানান, নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এমনকি তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়৷
পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কৃষ্ণপালের স্ত্রী মারা গিয়েছে৷ তার নিজের তিন মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে৷ তার সম্পর্কে নাবালিকার মামা হয়৷ এসও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করছিল৷ তাকে রিচা রোড রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযুক্তের পরিবার পলাতক৷
জানা গিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই নাবালিকাকে ১০ টাকার নোট দেখিয়ে নিজের কাছে ডেকে আনে কৃষ্ণপাল৷ এরপরেই তাকে ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সে ধর্ষণ করে৷ কৃষ্ণপালের ছোট মেয়েই এই ঘটনার কথা জানায়৷ তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
ConversionConversion EmoticonEmoticon