BDNow24 News

পে-স্কেল বাস্তবায়নে পাসপোর্ট ফি বাড়ছে ৮৩ ভাগ

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে সরকারের আয় বাড়াতে পাসপোর্টের ফি ৮৩ শতাংশ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ পাসপোর্টের ফি ৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হতে যাচ্ছে ৫ হাজার ৫’শ টাকা এবং জরুরি ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ফি ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হতে যাচ্ছে ১১ হাজার টাকা। 

তবে পাসপোর্টের মেয়াদও বাড়িয়ে ৫ বছর থেকে ১০ বছর করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে পাসপোর্টের ফি ও মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
ভারত ও শ্রীলঙ্কাতে জরুরি পাসপোর্টের জন্যে ব্যয় করতে হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪১০০ টাকা এবং পাকিস্তানে ১০ হাজার টাকা।

সম্প্রতি অবসরে যাওয়া পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, তারা পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। ২০০৭-০৮ সালে তারা বেশ কিছু ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ইস্যু করেছিলেন। তবে এটি পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, তারা পাসপোর্টের ফি ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনার সময় সরকারের আয় বাড়ানোর কথা চিন্তা করে পাসপোর্টের ফি ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাসপোর্ট খাত থেকে সরকারের আয় ছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা। নতুন ফি কার্যকর হলে এ খাতে থেকে সরকারের আয় হবে ৩ হাজার কোটি টাকা। এর সাথে যুক্ত হবে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ৮০ ভাগ বাড়ানোয় এর সাথে সঙ্গতি রাখতে আয় বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পরবর্তী দুই বছরে দুই ধাপে এ বেতন বৃদ্ধিতে সরকারের দরকার হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সিদ্ধান্ত অনুসারে হাতে লেখা পাসপোর্টের পরিবর্তে চালু হতে শুরু করেছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর শেষ হবে এমআরপি ইস্যুর তারিখ।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে এমআরপি পাসপোর্টধারী আছে প্রায় ১ কোটি মানুষ এবং আরও ২ কোটি মানুষ এখনও হাতে লেখা পাসপোর্ট ধারণ করে। ২০১০ সালের ১ এপ্রিল এআরপি প্রকল্পের কাজ শুরু করে পাসপোর্ট ও অভিবাসন অধিদফতর। সাড়া দেশে ৬৭টি দফতরের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন করছে তারা।

এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫৭টি দূতাবাসের মাধ্যমে এ কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। 
Previous
Next Post »
Thanks for your comment