কুমার সাঙ্গাকারার মতো গোছানো ব্যাটসম্যান বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কমই আছে। আর মাঠের বাইরে? তার চেয়ে অগোছালো আর কেউ নেই! বিদায়বেলায় সাঙ্গাকারার ঘরের খবর জানিয়েছেন তার স্ত্রী ইয়েহালি।
কদিন আগেই এক সাক্ষাতকারে মাহেলা জয়াবর্ধনে বলেছেন, স্কুলে সাঙ্গাকারার নেশা ছিল দুটি; টেনিস খেলা আর ইয়েহালির পেছনে ছোটা! পরে টেনিস ছেড়ে ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া, উঠতি ক্রিকেটার হিসেবে নজর কাড়া, ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যায় জাতীয় দলে আসা আর আস্তে আস্তে বিশ্বসেরাদের একজন হয়ে ওঠা, এই পুরো ভ্রমণে সাঙ্গাকারার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন ইয়েহালি। দুজনের সম্পর্কের শুরু যে সেই স্কুল জীবন থেকেই!
কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সনি সিক্স টিভিতে ধারাভাষ্যকার রাসেল আরনল্ডের সঙ্গে সাঙ্গাকারাকে নিয়ে কথা বললেন ইয়েহালি।
ইয়েহালি ফাঁস করে দিলেন সাঙ্গাকারার অনেক গোমরও। ২২ গজে ব্যাট হাতে দারুণ গোছানো, ক্রিকেট দর্শনে অনন্য, মাইক্রোফোনেও অকপট। কিন্তু ঘরের সাঙ্গাকারা পুরো উল্টো!
“সাঙ্গা খুবই অগোছালো একজন। বলা যায় বিশ্বের সবচেয়ে অগোছালো মানুষ!”
“রান্না করাটা সাঙ্গা অনেক ভালোবাসে। বিশেষ করে বাড়িতে পাস্তা রান্না করতে খুবই পছন্দ করে।”
ইয়েহালি জানালেন, মাঠের ক্রিকেটকে কখনও বাড়িতে নিয়ে আসতেন না সাঙ্গাকারা।
“আমরা কখনোই বাড়িতে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলিনি। সবসময়ই নিশ্চিত করতাম, ক্রিকেটের বাইরেও বাসায় যেন অন্য একটা জীবন থাকে। বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের কথা হয়, সময় কাটে।”
ইয়েহালির ধারণা, অবসর জীবনে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে সাঙ্গাকারার।
“এমনিতে সাঙ্গা খুবই খোলা মনের মানুষ। কখনোই খুব বেশি চাওয়া ছিল না ওর। তবে জীবনের বড় সময় ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। এখন ক্রিকেট ছাড়া জীবনে মানিয়ে নিতে খানিকটা সময় লাগবে। অবশ্য আরও এক-দুই বছর তো টুকটাক ক্রিকেট খেলবে নানা জায়গায়।”
ConversionConversion EmoticonEmoticon