বিশ্বকাপে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে আইসিসি। ম্যাচের আগ থেকেই এটি চাউর হচ্ছিল বিভিন্নভাবে। আবারো সেটি প্রমান হলো বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে। আম্পায়ারিং খারাপ হয়েছে। দু’টি সিদ্ধান্ত হয়েছে সমালোচিত। আম্পায়ারিং নিয়ে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার টুইটারে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের আলিম দার ভারতকে ‘মওকা’ দিলেন।’ অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের বিপে ভারতের জয়ের নায়ক ওই বিতর্কিত আম্পায়ার আলিম দার। এদিকে পাকিস্তানের ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলেন আইসিসিকে। ব্যঙ্গ করে তিনি টুইটরবার্তায় লিখেছেন, সাধুবাদ আইসিসিকে (ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল)। সত্যিই তোমরা (আম্পায়াররা) বিক্রি হয়ে গেলে।’ ক্রিকেট যদি জেন্টলম্যান গেম হয় তাহলে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কেন ভুগতে হবে উপরে উঠতে চাওয়া নীচের সারির দলগুলিকে। ম্যাচ চলাকালে এ ধরনের দলগুলোর খেলোয়াড়দের মনোবল ভেঙে দেয়া হয়। ফলে গোটা ম্যাচের ওপর প্রভাব পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, বিতর্কিত সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়। রক যদি ভকের ভূমিকায় থাকে। তাহলে একটি সিদ্ধান্ত যেখানে মানসিক মনোবল ভাঙ্গতে যথেস্ট সেখানে দুটি সিদ্ধান্তে একেবারে কোনঠাসা। গতকাল আম্পায়ারদের এমনি বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করেছে আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। এছাড়া দণি আফ্রিকার পেসার ডেইল স্টেইন টুইট করেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। এটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত।’ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন কমেন্ট্রি বক্সে বলেন, ‘এত দ্রুত নো-বলের সিদ্ধান্ত আম্পায়াররা নিতে পারেন, তা এই প্রথম দেখলাম। এটা নো-বল ছিল না। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত।’ হর্ষে ভোগলে বলেন, ‘অনফিল্ড আম্পায়াররা সচরাচর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিজের মধ্যে আলোচনা করেন। এরপর কিছু সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানান।’ ক্রিকইনফোর প্রধান সম্পাদক সম্বিতবল টুইট করেন, ‘ক্রিকেটে নিয়ম পরিবর্তন করা উচিত। অনফিল্ড আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত থার্ড আম্পায়ার ঠিক করে দিতেই পারে। এটা স্বাভাবিক একটা জ্ঞান।’ ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষ্মণ টুইট করেন, ‘গোল্ডের সিদ্ধান্ত একদমই বাজে। বলটা কোনোভাবেই কোমরের ওপরে ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে আরেকটা জীবন পেল রোহিত। এখন আরো ২০ রান বেশি পাবে ভারত।’
Next
« Prev Post
« Prev Post
Previous
Next Post »
Next Post »
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ConversionConversion EmoticonEmoticon