BDNow24 News

বাংলাদেশ ভারত খেলায় বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করলেন খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দুই অ্যাম্পায়ারের পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ শেষে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের খবর শুনে এ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। টাইগারা বড় কোনো দলের সঙ্গে জয় পেলে বেগম জিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানালেও অ্যাম্পায়ারিং নিয়ে এ-ই প্রথম মন্তব্য করলেন।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্যাটেলাইট টিভি সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। এখানে বিটিভিও দেখা যায় না। একারণে তিনি টেলিভিশনে খেলা দেখতে পারেননি। তবে অন্যরা রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শুনেছেন। তারা চেয়ারপারসনকে খেলার নিয়মিত হালনাগাদ খবর দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ দল ভারতের বিরুদ্ধে বড় রানের ব্যবধানে হারলেও তাদের পারফরমেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া। আর খেলা চলাকালে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ে তিনি বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। ভারতের ইনিংসে রোহিত শর্মা আউট হয়ে যেতেন ৯০ রানেই। রুবেলের বলে তিনি ক্যাচ দেন ইমরুলের হাতে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নো বল দেন ইয়ান গোল্ড।
৩০ ওভারে যখন ভারত মাত্র ১২৬ রান তুলেছে এবং পড়ে গেছে তিন তিনটি উইকেট ঠিক সেই সময় রুবেল হোসেনকে বল করতে না দেয়া ক্যাপ্টেনের সবচেয়ে বড় ভুল। খেলার মোড়টা সেখান থেকেই ঘুরতে শুরু করে।
* রোহিত শর্মাকে আউট না করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল, যেটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
* মাশরাফি বিন মুর্তাজার উচিত ছিল সুরেশ রায়নার বিরুদ্ধে রুবেল হোসেনকে বল করানো। কারণ রায়না শর্ট বলে দুর্বল ছিল। সেই সময় মাশরাফির নিজের বল করা মোটেই উচিত হয়নি। সুরেশ রায়না এবং রোহিত শর্মার জুটিই পরে খেলা ঘুরিয়ে দেয়।
* রুবেল হোসেনের ফুল টস বলটিকে নো-বল ঘোষণা ছিল আম্পায়ারের মারাত্মক ভুল যার মূল্য দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
* ৩০০ রানের একটা মনস্তাত্বিক প্রভাব রয়েছে। ভারত ৩০০ রান তোলার পর মানসিকভাবে বাংলাদেশ আর প্রতিযোগিতায় ছিল না।। মিস্‌ ফিল্ডিং, ক্যাচ ড্রপ, সার্কেলের মধ্যে চারজন রেখে বল করা, নো-বল দেয়া — এসব দেখে মনে হয়েছে অধিনায়ক একেবারেই অপেশাদারী মনোভাব দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনিংসেও আম্পায়াররা হেঁটেছেন ভারতের পক্ষেই। মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ সীমানার কাছাকাছি নিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। যাতে মনে হয়েছিল তার পা স্পর্শ করেছে সাইডলাইন। কিন্তু রিপ্লেতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই রিয়াদকে আউট দেন আম্পায়ার। পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দার আর ইয়ান গোল্ড ইংল্যান্ডের।
Previous
Next Post »
Thanks for your comment