বল হাতেই আগুন ঝরাতে দেখা যায় তাদের। কেউ গতির ঝড় তোলেন কেউবা দেখান স্পিন ভেল্কি। ব্যাটিংটা এদের কাছে ঐচ্ছিক একটা বিষয়ই। ব্যাটিং অনুশীলনে খুব একটা সময় ব্যয় করেন না তারা। বল হাতেই ঘাম ঝরাতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু এদেরকেই চান্দিকা হাথুরুসিংহে এবার ব্যাট ধরিয়ে দিয়েছেন। লঙ্কান কোচের কড়া নির্দেশ- টানা সাতদিন ব্যাট করতে হবে নেটে।
মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ, জুবায়ের হোসেন লিখন ও তাইজুল ইসলাম- পাঁচজনই বোলার। তিনজন পেসার আর বাকি দুইজন স্পিনার। এদের দলে জায়গাও মেলে বোলার হিসেবে। তাহলে হঠাৎই এমন আয়োজন কেন?এদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে বিশেষ কিছু ডেলিভারি খেলানোর অনুশীলন করানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। শেষের দিকে প্রতিপক্ষ বোলারদের বল মোকাবিলা করতেই এদেরকে নিয়ে ব্যাটিংয়ের এই কার্যক্রম। দায়িত্বে আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। আজ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে এটা।’
এ বিষয়ে বাবুল বলেছেন, ‘আমার তত্ত্বাবধানে ঠিক তা নয়। আমার সময় ছিল তাই বলেছে ওদেরকে একটু ব্যাটিং করাতে। সাতদিন অর্থাৎ ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাটিং করবে ওরা। আমি অবশ্য ২৯ আগস্ট খুলনাতে চলে যাব ১৯ দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে।’নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে এমন কাজ করাটাকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন পেসার রুবেল হোসেন, ‘বিশেষ কিছু নিয়ে কাজ করছি না। আমাদের ব্যাকফুট ও ফ্রন্টফুট নিয়ে কাজ করছি। যাতে ওই সব বলগুলো সহজে খেলতে পারি। হাথুরুসিংহের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাবুল ভাই আমাদের নিয়ে কাজ করছে। আজ এই পরিকল্পনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে।’
আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও আছেন এই প্রোগ্রামে। বল হাতে প্রতিপক্ষের দূর্গ্ গুড়িয়ে দেয়া বাঁহাতি এই পেসার এবার ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন। জানালেন খারাপ লাগছে না, ‘আজ অনেকক্ষন ব্যাটিং করলাম। ব্যাটিং করতে ভালই লাগে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য বোলারদের বাউন্সারগুলো রুখে দেয়া। সেই সঙ্গে নিজেদের টেকনিকের উন্নতি করা। কোচ আমাদের আরও একটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়েছেন।’জুবায়ের হোসেন লিখন বলছেন, ‘এই প্রোগ্রাম আমাদের অনেক কাজে দেবে। ব্যাটিংয়ে অনেক কিছু শেখার আছে। শেষ দিকে প্রতিপক্ষ বোলাররা লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ইয়র্কার কিংবা বাউন্সার দেয়। সেই বলগুলোর প্রতিরোধ হিসেবেই আমরা এই পরিকল্পনার অংশ হয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতে দলের প্রয়োজনে কার্যকর ব্যাটিং করতে পারব।’
আরেক পেসার মোহাম্মদ শহীদ ব্যাট হাতেও খারাপ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯ বলে করেছিলেন ২৫ রান। ছিল ছয়ের মারও। এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে শহীদ বলেন, ‘সামনের বলগুলোর সঙ্গে বাউন্সার গুলো যেন ঠিকভাবে খেলতে পারি এটাই মূল উদ্দেশ্য। আমি যখন ক্রিজে থাকব, আমার অপর প্রান্তে মিডল অর্ডার কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে তাকে যেন সাপোর্ট দিতে পারি সেই প্রচেষ্টা থেকেই কাজ করছি।
ConversionConversion EmoticonEmoticon