বাংলাদেশ ও ভারতের সম্প্রতি তিন ম্যাচের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সিরিজ খেলাতে ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে টাইগারার, ভারতকে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছে মাশরাফি বাহিনী। এটি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয় ছিল। বাংলাদেশের পতাকা ভক্তদের দ্বারা বিরোধী দলের পরাজয়ের উদযাপন হিসেবে গ্যালারীতে নিরলসভাবে হিল্লোলিত হয়ে ছিল সারক্ষণ।
বা-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান তার প্রাণঘাতী অফ কাটারের সঙ্গে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে তোলে। ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি বোলার ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তিনি জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান ভেট্টরির পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় যে তার প্রথম দুই ম্যাচে ৫ টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ম্যাচে একটি সান্ত্বনাসূচক ৭৭ রানের জয় আদায় করে ভারতীয়রা একটি অভূতপূর্ব বাংলাওয়াশ থেকে রক্ষা পায়।
এদিকে টাইগারদের এ জয়ের পর বাংলাদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম প্রথম আলো তাদের একটি ম্যাগাজিন বের করেছে, যেখানে- মুস্তাফিজ তার বিখ্যাত ‘অফকাটার’ প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তার সামনে ভারতীয়দের সাতজন ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে আছে। আর এই ম্যাগাজিনকে কেন্দ্র করে ভারতীয় অন্যতম প্রথম সারির পত্রিকা আইবিএন বাংলাদেশী গণমাধ্যমের সমালোচনায় মুখর হয়েছে উঠেছে। তারা টাইগারদের জয়কে খাটো করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে ব্যাপকভাবে দোষারোপ করছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম লিখেছে- বাংলাদেশ খেলার মাঠে যা অর্জন করেছে, তা তাদের দেশের মিডিয়ার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতকে আরও লজ্জা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ২৯শে জুন একটি ম্যাগাজিন বের করে। সেখানে ভারতের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি ছবি দেয়া হয়।
তারা লিখেছে- প্রথম আলো, একটি বিখ্যাত বাংলাদেশী সংবাদপত্র, তারা সাপ্তাহিক সম্পূরক রশ আলোতে একটি কর্তনকারীর জাল বিজ্ঞাপন তৈরি করে। সেখানে দেখা যায়, বাংলাদেশী ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর তার বিখ্যাত ‘অফকাটার’ প্রতীক নিয়ে একজন 'কর্তনকারী' বা নাপিত হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সামনে ভারতীয়দের সাতজন ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে আছেন। মুস্তাফিজুরের অফকাটার অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় আজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা, মহেন্দ্র সিং ধোনি, শিখর ধাওয়ান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটি ব্যানার ধারণ করে বলছেন যে, “আমরা এটা ব্যবহার করেছি আপনিও এটি ব্যবহার করতে পারেন”।
পত্রিকাটি আরো লিখেছে- অর্ধেক চুল কাটা দ্বারা আমরা সাধারণত অপমান করাই বুঝি। এরকম একটি বিজ্ঞাপন দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় দেয়া অবশ্যই মানায় না। এরকম বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে কোন উন্নয়ন করবে না। এতে তাদের মাঝে শত্রুতা আরও বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাংলাদেশের বিদায় হয়ে যাবার পর থেকেই এই দুই দেশের মাঝে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।
ConversionConversion EmoticonEmoticon