১৪ টেস্টে ৯ ফিফটি আর ৪ সেঞ্চুরি। ফিফটি বা সেঞ্চুরি কিছুই নেই
কেবল একটা টেস্টে। শুধু তা-ই নয়,
টানা ১১ টেস্টে ফিফটি করে বিশ্ব রেকর্ডের দোরগোড়ায়। তবে বাংলাদেশের
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল
হক এ
নিয়ে একটুও আলোড়িত নন। তাঁর একটাই চিন্তা, যেন ‘মিস্টার
ফিফটি’ হয়ে
না থাকতে হয়
টানা ১১ টেস্টে ফিফটি করে ভিভ রিচার্ডস, বীরেন্দর শেবাগ আর গৌতম গম্ভীরের পাশে নাম লেখালেন। নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে...
মুমিনুল হক: সত্যি বলতে কি আমার সে রকম কিছু মনে হচ্ছে না। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বিষয়টা আমি ওভাবে চিন্তাই করিনি।
কিন্তু পরের টেস্টে ফিফটি করলেই তো রেকর্ড! এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ টেস্টে ফিফটি করার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন। তখনো কি কোনো অনুভূতি হবে না?
মুমিনুল: দেখেন শুধু ফিফটি না, টেস্টের প্রতিটি ইনিংসেই আমার লক্ষ্য থাকে এক শ-দেড় শ মারা। কাজেই পরের টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেই আমি বেশি খুশি হব, ফিফটি করে না।
টানা ১১ টেস্টে ফিফটি করে ভিভ রিচার্ডস, বীরেন্দর শেবাগ আর গৌতম গম্ভীরের পাশে নাম লেখালেন। নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে...
মুমিনুল হক: সত্যি বলতে কি আমার সে রকম কিছু মনে হচ্ছে না। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বিষয়টা আমি ওভাবে চিন্তাই করিনি।
কিন্তু পরের টেস্টে ফিফটি করলেই তো রেকর্ড! এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ টেস্টে ফিফটি করার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন। তখনো কি কোনো অনুভূতি হবে না?
মুমিনুল: দেখেন শুধু ফিফটি না, টেস্টের প্রতিটি ইনিংসেই আমার লক্ষ্য থাকে এক শ-দেড় শ মারা। কাজেই পরের টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেই আমি বেশি খুশি হব, ফিফটি করে না।
এটাও একটা ব্যাপার। ১১ টেস্টে ফিফটি করেছেন, কিন্তু সেঞ্চুরি
মাত্র চারটি। মিস্টার ফিফটি হয়ে যাচ্ছেন না তো আবার!
মুমিনুল: (হাসি)
না, আমি
মিস্টার ফিফটি হতে চাই না। এক শ করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো। তবে আমার মনে হয়, মিস্টার ফিফটি
বলার সময় এখনো আসেনি। আমি যদি টানা ৭-৮টা টেস্ট খেলে ৫টিতেই ফিফটি করে আউট হয়ে যেতাম, তাহলে একটা
কথা ছিল। মাত্র দুই টেস্ট আগেই আমার একটা সেঞ্চুরি আছে। তাহলে আমাকে মিস্টার ফিফটি
কীভাবে বলেন?
ফিফটিগুলোর যে নিয়মিত সেঞ্চুরিতে রূপান্তর হচ্ছে না, তা নিয়ে তাহলে
খুব বেশি চিন্তিত নন আপনি?
মুমিনুল: চিন্তিত
নই, তা
নয়। আমার নিজের ভেতরই তো ফিলিংসটা সবচেয়ে বেশি আসে! আমি ফিফটি করে আউট হয়ে যাচ্ছি।
সেঞ্চুরি করতে পারছি না।
পাকিস্তানের বোলিং খেলার অভিজ্ঞতাটা কেমন?
মুমিনুল: ভালো
তো অবশ্যই। সাকিব ভাইকে আমি আগেই বলেছিলাম, ওদের সঙ্গে খেললে আমাদের ব্যাটিংয়ে এমনিতেই উন্নতি আসবে। অনেক হোমওয়ার্ক
করতে হয়, বাজে
বলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেক চিন্তাভাবনা করা লাগে।
বিশেষ কোনো বোলারের কথা বলবেন, যাঁকে খেলা
বেশি কঠিন মনে হয়েছে?
মুমিনুল: আলাদা
করে কারও নাম বলা যাবে না। কারণ,
তাদের তো একজন ভালো বোলার না। সবাই ভালো বোলার। স্পিন বলেন, পেস বলেন—কোনোটাকে
আলাদা করা যাবে না। সবার বল খেলাই কঠিন।
তার পরও এক-দুজনের নাম যদি বলতে বলা হয়...
মুমিনুল: স্পিনে
ইয়াসির শাহর কথা বলব। ভালো লেগ স্পিনার। একজন লেগ স্পিনার এত কম শর্ট বল দেয়, এত কম ফুল
টস দেয়—ভাবাই
যায় না। আমি এ রকম লেগ স্পিনার আগে দেখিনি। পেসারদের মধ্যে জুনায়েদের লাইন-লেংথ ভালো
মনে হয়েছে।
পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ে আপনারা নিশ্চয়ই অনেক হোমওয়ার্ক করেছেন।
সেগুলো কতটা কাজে এসেছে?
মুমিনুল: হোমওয়ার্ক
ছিল, এ
ছাড়া সিরিজের মধ্যেও আমরা নিজেরা ওদের বোলারদের নিয়ে আলোচনা করেছি। একটা বিষয় নিশ্চয়ই
খেয়াল করেছেন, পাকিস্তানের
পেসাররা দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারে। বাঁহাতিদের খেলা ছিল বেশি কঠিন। এটা অবশ্য আমরা
আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। সে জন্য নেটেও আমরা বাঁহাতি পেসার রেখেছিলাম।
দিনে দিনে আপনি টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি পেয়ে যাচ্ছেন।
ওয়ানডে খেলতে না পারার দুঃখ নেই?
মুমিনুল: আমাকে
যেহেতু টেস্ট ব্যাটসম্যান বলা হচ্ছে, আমিও চেষ্টা করছি টেস্টেই মনোযোগী হতে। ওয়ানডে নিয়ে চিন্তা করছি
না। আমার বিশ্বাস, টেস্টে
নিয়মিত ভালো খেললে ওয়ানডেতেও আমি সুযোগ পাব। আর যদি না পাই তো খেলব না। সবকিছু তো
আর আমার হাতে নেই।
ConversionConversion EmoticonEmoticon