চারদিকে নানা ‘গুজব’ শুনি। ভারতকে ফাইনালে খেলানোর জন্যই নাকি এত সব আয়োজন। অনেকে বলে, ফাইনালে না হোক অন্তত সেমিফাইনালে যেতেই হবে ভারতকে। না হলে ক্রিকেট বাণিজ্যের বাজার ধসে যাবে। কিন্তু বাজার অর্থনীতির এই যুগে একটা বাজারকে তো আর ধসে যেতে দেওয়া যায় না। হাজার হোক তারা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ক্রিকইনফো থেকে যতই হক–আই তুলে নিক না কেন, প্রতিবেশীর একটা হক তো আমরা তুলে নিতে পারি না। আম্পায়ার, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু সুচিন্তিত পরামর্শ আছে ভারতীয় বাজার ধরে রাখা বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে। একটাই উপায়। কী সেটা? বাই হুক অর ক্রুক ভারতকে জেতাতে হবে। তারা নিজেরা আর কত নিয়ম-টিয়ম বানাবে, চলুন আমরাই কিছু নিয়ম তৈরি করে মহান এই ক্রিকেট–রাষ্ট্রকে উপহার দিই—
বিপক্ষ দলের একটা রিভিউ নেওয়ার সিস্টেম থাকলেও ভারতীয়রা রিভিউ নিতে পারবে তিন তিনটা। আর সেটা হবে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি স্টাইলে। আম্পায়ারের ডিসিশন ভারতীয় খেলোয়াড়দের পছন্দ না হলে বেছে নিতে পারবে ‘ফোনো ফ্রেন্ড’, ‘৫০-৫০’ বা ‘অডিয়েন্স পোল’। কেমন হবে সেই সিস্টেম?
ধরা যাক রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ তুললেন আনুশকার ইয়ে কী জানি নাম, হ্যাঁ বিরাট কোহলি। পয়েন্টে সেটাকে লোপ্পা ক্যাচ বানালেন তামিম (হাসেন কেন, মাঝে মাঝে ছেলেটা ভালো ক্যাচ ধরে তো!)। আম্পায়ার সরল মনে আউট দিয়ে দিলেন। কিন্তু ব্যাপারটা পছন্দ হলো না অপরপ্রান্তের ধোনির। রিভিউ নিয়ে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। স্টিলের প্লেটে একটা স্মার্টফোন হাতে নিয়ে মাঠে ঢুকলেন এক্সট্রা প্লেয়ার। টিভি পর্দার নিচে ভেসে উঠল, অমুক ফোন দারুণ ফোন, ফেয়ারটেলের নেটওয়ার্ক, কাচের মতো স্বচ্ছ। ধোনিরা ব্যবহার করে, গরিবরাও করুন।
ফোন তুলে ফোন দিলেন আম্পায়ার। ধরল ধোনির এক বন্ধু—
: রাহুল জি, আপকা দোস্ত ধোনি সাবের ফোন...!
সেখান থেকেই কথা কেড়ে নেবেন ধোনি। যা বলবেন তা বাংলায় বললে যেমন হবে—
: হ্যাঁ রে দোস্ত, কী খবর? তুই কই?
: এই যে দোস্ত, ধোবিঘাটে কাপড় কাচতেছি। তুই কই? খেলায় জিতে বাড়ি ফিরস নাই এখনো?
: আরে না, শোন রুবেল আমাগো কোহলির ক্যাচ কোমর দিয়ে না ধরে হাত দিয়ে ধরছে। এইটা কী আউট হইব নাকি হ্যান্ডবল হইব?
: এইটা আউট হয় কেমনে, এইটা তো অবশ্যই হ্যান্ডবল!
কোহলি তাকাবেন আম্পায়ারের দিকে। আম্পায়ার নটআউট ঘোষণা করলে খেলা আবার চলতে শুরু করবে। কিছুক্ষণ পর আবার বোল্ড হয়ে গেলে ধোনিরা নিতে পারবেন অডিয়েন্স পোল। গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাতে পারবেন এটা বোল্ড হয়েছে নাকি বল স্টাম্পেই লাগেনি। তবে এ নিয়ম শুধু ভারতের মাটিতে খেলা হলেই চলতে পারে। কখনো যদি বিদেশের মাটিতে বাধ্য হয়ে ধোনিকে অডিয়েন্স পোল নিতে হয় এবং মতামত তাঁর বিপক্ষে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গেই ধোনি নিতে পারবেন ফিফটি-ফিফটি অপশন। তার মাধ্যমে ধোনি সহজেই বেছে নিতে পারবেন নটআউট অপশনটি।
এই শেষ নয়। এর বাইরে ভারত খেলায় নামার আগে তাদের যেকোনো একজন খেলোয়াড়কে ‘তালগাছ আমার’ প্লেয়ার ঘোষণা করতে পারবেন। সেই খেলোয়াড় সেঞ্চুরির আগে তিনবার পর্যন্ত আউট হলেও খেলা চালিয়ে যেতে পারবে। চতুর্থবারও যদি সেই খেলোয়াড় আউট হয়ে যায় তখন সেই বলকে নো বল ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ভারত যখন বল করবে তখন প্রতিপক্ষ দলের স্টাম্প থাকবে চারটি করে। তারা ব্যাটিংয়ে ফিরে এলে আবার আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিন স্টাম্পের নিয়ম বহাল হবে। ক্রিকেট খেলাটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্মানস্বরূপ ভারত দল পুরো খেলায় এখনকার ‘একটি খেলা একটি রিভিও’-এর মতো আম্পায়ারের যেকোনো একটি ডিসিশন না–ও মানতে পারে। এমনকি ক্লিন বোল্ডের ডিসিশনও এর আওতায় পড়বে।
পাওয়ার প্লের মতো পাওয়ার ব্যাটিং নামে একটা নিয়ম থাকবে। সেই নিয়ম অনুসারে প্রথম ১০ ওভারে ভারত দলের একজনের বেশি ব্যাটসম্যানকে আউট করা যাবে না। পরবর্তী প্রতিটি আউটের চেষ্টাকে আগে থেকেই নো বল ঘোষণা করা হবে। এর পরও ইন্ডিয়া না জিতলে ‘ব্ল্যাকওয়ার্থ লুইস’ পদ্ধতিতে ভারতকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
বিপক্ষ দলের একটা রিভিউ নেওয়ার সিস্টেম থাকলেও ভারতীয়রা রিভিউ নিতে পারবে তিন তিনটা। আর সেটা হবে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি স্টাইলে। আম্পায়ারের ডিসিশন ভারতীয় খেলোয়াড়দের পছন্দ না হলে বেছে নিতে পারবে ‘ফোনো ফ্রেন্ড’, ‘৫০-৫০’ বা ‘অডিয়েন্স পোল’। কেমন হবে সেই সিস্টেম?
ধরা যাক রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ তুললেন আনুশকার ইয়ে কী জানি নাম, হ্যাঁ বিরাট কোহলি। পয়েন্টে সেটাকে লোপ্পা ক্যাচ বানালেন তামিম (হাসেন কেন, মাঝে মাঝে ছেলেটা ভালো ক্যাচ ধরে তো!)। আম্পায়ার সরল মনে আউট দিয়ে দিলেন। কিন্তু ব্যাপারটা পছন্দ হলো না অপরপ্রান্তের ধোনির। রিভিউ নিয়ে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। স্টিলের প্লেটে একটা স্মার্টফোন হাতে নিয়ে মাঠে ঢুকলেন এক্সট্রা প্লেয়ার। টিভি পর্দার নিচে ভেসে উঠল, অমুক ফোন দারুণ ফোন, ফেয়ারটেলের নেটওয়ার্ক, কাচের মতো স্বচ্ছ। ধোনিরা ব্যবহার করে, গরিবরাও করুন।
ফোন তুলে ফোন দিলেন আম্পায়ার। ধরল ধোনির এক বন্ধু—
: রাহুল জি, আপকা দোস্ত ধোনি সাবের ফোন...!
সেখান থেকেই কথা কেড়ে নেবেন ধোনি। যা বলবেন তা বাংলায় বললে যেমন হবে—
: হ্যাঁ রে দোস্ত, কী খবর? তুই কই?
: এই যে দোস্ত, ধোবিঘাটে কাপড় কাচতেছি। তুই কই? খেলায় জিতে বাড়ি ফিরস নাই এখনো?
: আরে না, শোন রুবেল আমাগো কোহলির ক্যাচ কোমর দিয়ে না ধরে হাত দিয়ে ধরছে। এইটা কী আউট হইব নাকি হ্যান্ডবল হইব?
: এইটা আউট হয় কেমনে, এইটা তো অবশ্যই হ্যান্ডবল!
কোহলি তাকাবেন আম্পায়ারের দিকে। আম্পায়ার নটআউট ঘোষণা করলে খেলা আবার চলতে শুরু করবে। কিছুক্ষণ পর আবার বোল্ড হয়ে গেলে ধোনিরা নিতে পারবেন অডিয়েন্স পোল। গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানাতে পারবেন এটা বোল্ড হয়েছে নাকি বল স্টাম্পেই লাগেনি। তবে এ নিয়ম শুধু ভারতের মাটিতে খেলা হলেই চলতে পারে। কখনো যদি বিদেশের মাটিতে বাধ্য হয়ে ধোনিকে অডিয়েন্স পোল নিতে হয় এবং মতামত তাঁর বিপক্ষে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গেই ধোনি নিতে পারবেন ফিফটি-ফিফটি অপশন। তার মাধ্যমে ধোনি সহজেই বেছে নিতে পারবেন নটআউট অপশনটি।
এই শেষ নয়। এর বাইরে ভারত খেলায় নামার আগে তাদের যেকোনো একজন খেলোয়াড়কে ‘তালগাছ আমার’ প্লেয়ার ঘোষণা করতে পারবেন। সেই খেলোয়াড় সেঞ্চুরির আগে তিনবার পর্যন্ত আউট হলেও খেলা চালিয়ে যেতে পারবে। চতুর্থবারও যদি সেই খেলোয়াড় আউট হয়ে যায় তখন সেই বলকে নো বল ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া ভারত যখন বল করবে তখন প্রতিপক্ষ দলের স্টাম্প থাকবে চারটি করে। তারা ব্যাটিংয়ে ফিরে এলে আবার আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিন স্টাম্পের নিয়ম বহাল হবে। ক্রিকেট খেলাটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্মানস্বরূপ ভারত দল পুরো খেলায় এখনকার ‘একটি খেলা একটি রিভিও’-এর মতো আম্পায়ারের যেকোনো একটি ডিসিশন না–ও মানতে পারে। এমনকি ক্লিন বোল্ডের ডিসিশনও এর আওতায় পড়বে।
পাওয়ার প্লের মতো পাওয়ার ব্যাটিং নামে একটা নিয়ম থাকবে। সেই নিয়ম অনুসারে প্রথম ১০ ওভারে ভারত দলের একজনের বেশি ব্যাটসম্যানকে আউট করা যাবে না। পরবর্তী প্রতিটি আউটের চেষ্টাকে আগে থেকেই নো বল ঘোষণা করা হবে। এর পরও ইন্ডিয়া না জিতলে ‘ব্ল্যাকওয়ার্থ লুইস’ পদ্ধতিতে ভারতকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ConversionConversion EmoticonEmoticon