BDNow24 News

এই জয় বাংলাদেশকে তাতিয়ে দেবে

ইংল্যান্ডকে হারতে দেখলে অস্ট্রেলিয়ানরা আনন্দে নাচে। তবে আমাকে স্বীকার করতে হবে, যেভাবে বাংলাদেশের কাছে হেরে ওরা এই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল, আমি কিছুটা দুঃখও পেয়েছি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা বলতে গেলে প্রতি সপ্তাহেই সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলে। কিন্তু তার পরেও তাদের কী ছন্নছাড়া দল মনে হলো এ বিশ্বকাপে! শুরু থেকেই না ছিল কোনো আত্মবিশ্বাস, না জ্বলে ওঠার মতো কোনো স্ফুলিঙ্গ। মনে হয়েছে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করে বুঝি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে। অ্যালিস্টার কুককে বাদ দিয়ে এউইন মরগানকে অধিনায়ক বানাতেও ওরা অনেক দেরি করে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকেরা যখন সিদ্ধান্ত নিলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপে নতুন নেতৃত্ব নেবেন, আমাকে ২০০১ সালেই সরিয়ে দেওয়া হলো। রিকি পন্টিং যেন ওর মতো করে দলটা গোছানোর যথেষ্ট সময় পায়।
মরগান নেতা হিসেবে কেমন করবে এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ওর ব্যক্তিগত ফর্মে নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছে ফর্ম। ইংল্যান্ড যেভাবে খেলেছে, মনে হচ্ছে এটা যেন ১৯৮৭ বিশ্বকাপ। এখনকার পাওয়ার ক্রিকেটের সঙ্গে এই খেলা একেবারেই যায় না। এখনই তাই সময় দল পুনর্গঠনের। ক্রিস ওকস, অ্যালেক্স হেলস, জশ বাটলার, মঈন আলীরা প্রতিভাবান। তাদের যথাযথ সহযোগিতা দিতে হবে। ভাবতে হবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, ইয়ান বেলরা থাকবেন কি না।
তবে যা কিছু বলি, কিছুতেই মাশরাফি মুর্তজার এই তরুণ দলটার কৃতিত্ব খাটো করা যাবে না। ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জমা করেছে, বোলাররা ভীষণ চাপের মুখে স্নায়ু ধরে রেখেছে। বিশেষ করে ও রকম একটা ক্যাচ পড়ার পরও। শেষ মুহূর্তে যখন মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড লক্ষ্যটা পেরিয়ে যাবে, ওই সময় রুবেল হোসেন কী দুর্দান্ত বল করেছে! সব মিলিয়ে দারুণ দলগত প্রচেষ্টার ফল বাংলাদেশের এই জয়। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারছিল না। হয়তো এই জয়টা বাংলাদেশকে আরও তাতিয়ে দেবে। (গেম প্ল্যান)
Previous
Next Post »
Thanks for your comment