BDNow24 News

যৌন উত্তেজক উপাদান, মন্ত্রী বললেন- ‘কিছুই করার নেই’!

শক্তি সঞ্চারের নামে মানবদেহে ভয়ঙ্কর রোগের বাহক ঢুকিয়ে দিচ্ছে এনার্জি ড্রিংকস। এছাড়া ২৪টি এনার্জি ড্রিংকসে মিলছে মাদকের উপাদান। বিএসটিআই’র ভুয়া লাইসেন্সে বিক্রি হচ্ছে ২৭টি ব্র্যান্ড। এসব ব্র্যান্ডের মধ্যে মেশানো হচ্ছে ‘যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রার উপাদান’। এভাবে কর ফাঁকি দিয়ে এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয়। এতোসব জানার পরও প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা শিল্প মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ২৬তম বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফ এ বিষয়টি উত্থাপন করে শিল্পমন্ত্রীর আমির হোসেন আমুর জবাব চাইলে মন্ত্রী জানান, ‘এতে মন্ত্রণালয়ের কিছুই করার নেই।’
তিনি জানান, এনার্জি ড্রিংকস উৎপাদন বা বাজারজাতকরণে মন্ত্রণালয়ের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এনার্জি ড্রিংকসে ক্যাফেইন, অপিয়ম থাকার অভিযোগ পেলে বিএসটিআই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই থেকে পণ্যের অনুকূলে গুণগত মান সনদ গ্রহণের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১৫৫টি বাধ্যতামূলক পণ্যের মধ্যে এনার্জি ড্রিংকস পরে না। এটা সফট ড্রিংকসের আওতায়ও পরে না। তাই এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন, অপিয়ম পাওয়ার অভিযোগ পেলে বিএসটিআই থেকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। এর বাইরে কিছু করা হয় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরিয়ে নিতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৪ সালের জুলাই হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেয়াদে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। এক হাজার ৪১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যায়ের এ প্রকল্প ২০১৪ সালের ৩০ জুন শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্পের উপর ২০১৪ সালের ১৪ আগষ্ট সচিবের সভাপতিত্বে যাচাই বাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার পর প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির সাথে বিসিক কর্তৃক একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষর হয়। এ পপ্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পুরান ঢাকার প্রায় ৪ হাজার কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠান ২০ একর জমিতে নির্মিত ১৭টি ভবনে স্থানান্তরের সুযোগ হবে।
শিল্পমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫ চিনি কলের সবগুলোই লোকসানে। বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন ১৫টি সুগার মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এসব সুগার মিল পর্যায়ক্রমে সুষমকরণ, আধুনিকায়নের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
Previous
This is the oldest page
Thanks for your comment