সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধানে আছে ‘জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক’। কিন্তু সংবিধান জনগণকে ক্ষমতা দিলেও সরকার দিন দিন জনগণকে ক্ষমতাহীন করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। এই দায়িত্ব হলো- অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ আয়োজিত ‘কার্যকর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের জনগণ এখন গুম-খুনকে আর ভয় পায় না। গুম-খুনের রাজনীতি করে গণতন্ত্রের আন্দোলনে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সেই সঙ্গে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতি মামলায় তার পাঁচ বছর কারদ- হলেও ক্ষমতাসীন দল তাকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বানিয়েছে।
ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে ড. কামাল বলেন, অন্যায়কে প্রতিহত করা ছাত্রদের ঐতিহ্য। তোমরা কোনো দিনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিও না। ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশের প্রতিটি স্বৈরাচারী আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান রয়েছে। বাংলার বুকে কোনো স্বৈরাচার থাকতে পারবে না। অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রদেরই আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র ঢুকছে। বিসিএস পরীক্ষায় দলীকরণ হচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার একটি দলের কাছে দখল হয়ে গেছে। কারণ দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই।
সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র এখন ভূলণ্ঠিত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আবারও কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্রদের ঐক্য গড়ে তুলে আন্দোলন করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আজম রুপর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সংগঠনের সাধারণ সস্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু প্রমুখ।
ConversionConversion EmoticonEmoticon