কুমিল্লার তিতাসে কিশোর কিশোরীকে অনৈতিক
কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আটক করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সাগর ফেনা গ্রামে
গত ২ মে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটা অংকের লেনদেন
নিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দিতে মরিয়া একটা মহল। টাকার অংক ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দের কথা জানিয়েছেন
এলাকার লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় এখন নানাহ জল্পনা কল্পনা ও মুখরোচক কথাবার্তা চাউড় পারছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপজেলার সাগর ফেনা গ্রামের
মালয়শিয়া প্রবাসী মোঃ আক্তার হোসেনের ছেলে শরিফ হোসেন প্রেম করে একই গ্রামের মোঃ হাকিম
মিয়ার মেয়ের ঘরের নাতনী মুক্তা আক্তারের সাথে।
এরই সুবাধে গত শনিবার সকালে কানাইনগর গ্রামের
অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য চিহ্নিত স্থান একটি গহীন ঝোপের মধ্যে দু’জনে মিলিত হওয়ার চেষ্ঠা করলে স্থানী লোকজন গিয়ে তাদের
ধাওয়া দেয়।
এসময় ছেলে শরিফ পালিয়ে গেলেও মুক্তাকে
আটক করে এলাকাবাসী। পরে মুক্তাকে তার পরিবারের কাছে দেয়া হলে সে জানায় তাকে জোড় করে
তুলে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্ঠা করে।
এ নিয়ে শনিবার রাতে স্থানীয় মাতবররা বসে
ঘটনার মিমাংসা দেয়ার চেষ্ঠা করে।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ খোকন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে বিষটি কানাইনগর গ্রামের লোকজন তাদেরকে অনৈতিক কর্মকান্ডে আটক করেছে।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ খোকন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে বিষটি কানাইনগর গ্রামের লোকজন তাদেরকে অনৈতিক কর্মকান্ডে আটক করেছে।
আমরা দেখি বিষয়টি কি করা যায়। পরে আপনাকে
জানানো হবে। ছেলের মা এংরাজ বেগম জানায়, মুক্তার
পরিবার থেকে কোন অভিযোগ নাই তাহলে কেন এরা বিচার করবে আমি বুঝিনা।
কারা বিচার করবে জানতে চাইলে বলেন, খোকন মেম্বার, কাশেম মিয়া, জাহাঙ্গির আলমসহ আরো কয়েকজন।
মুক্তার নানা হাকিম মিয়ার সাথে কথা হলে
সে জানায়,
আমাদের কোন অভিযোগ নাই। কেন এ দেশের মানুষ
বিষয়টি এত বাড়াবাড়ী করছে আমরা জানিনা।
তবে মুক্তার সাথে বা তার বাবা মায়ের পরিচয়
জানতে চাইলে তিনি উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিককে ভিব্রান্ত করেন।
এ বিষয়ে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ তারেক
মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি
আমরা জানা নাই। দেখি খুঁজ নিয়ে আসলে ঘটনাটি কি।
ConversionConversion EmoticonEmoticon