BDNow24 News

ক্রিকেটার রুবেলের বহুল আলোচিত বিয়ে প্রসঙ্গ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রুবেলের বাবা

নাটক অনেক হয়েছে আর নয়। এবার নাকি সত্যি সত্যিই বিয়ে করতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ কাঁপানো পেসার বাংলাদেশের রুবেল হোসেন। কিন্তু হ্যাপি নাটকের ভীড়ে সবার মনেই একটা প্রশ্ন অবশ্যই জাগবে আর সেটি হলো-রুবেল কাকে বিয়ে করছেন? হ্যাপি নাকি অন্য কাউকে?
বিয়ের জন্য পাত্রী পছন্দের দিকটাও নাকি চূড়ান্ত হয়েছে। অনামিকাতে আংকিও পরানোর পালাও নাকি শেষ। এখন বাকি শুধুই বিয়ে। পাত্রী বাগেরহাটের মুনীগঞ্জের দোলা। পাত্রী কোন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কিংবা নামী-দামী বিখ্যাত কেউ নন।ব্যাপক গুঞ্জন চলছে  নিজ শহরের এক সাধারণ মেয়েকেই বউ করে ঘরে আনতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন।ক্রিকেটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, সবঠিক থাকলে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি ক্রিকেট সিরিজের পরই বিয়েটা সম্পূর্ণ হবে। বিয়ের বিষয়ে রুবেল বাবা-মায়ের মতের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। আর তাই বাবা-মা’ই রুবেলে জন্য এই পাত্রী পছন্দ করেছেন।
রুবেলের নিজের বাড়ি বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজারে। একই শহরের অন্য অংশ মুনীগঞ্জ। তাহেলে রুবেল শেষ পর্যন্ত মনিগঞ্জের দোলার গলাতেই পড়াতে যাচ্ছেন বিয়ের মালা? এবার প্রাক্তন প্রেমিকা হ্যাপিই অনেকটা স্পষ্ট করে দিলেন বিয়ের খবরটা ।
এদিকে, কিছুতেই থামছেনা রুবেল-হ্যাপি বিতর্কিত সম্পর্কের টানাপোড়েন । আলোচিত চিত্রনায়িকা ও রুবেলের সাবেক প্রেমিকা হ্যাপির একের পর এক কর্মকাণ্ড কিছুদিন অন্তর অন্তর যেন দাবানলে ঢালছে ঘি । এ দফায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেলকে নিয়ে লেখা আলোচিত মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপির খোলা চিঠি নিয়ে শনিবার রাত থেকেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। সংবাদমাধ্যমে চিঠিটি প্রকাশের পর বাগেরহাটের সংবাদকর্মীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন।
হ্যাপির চিঠিতে লেখা রুবেলের হবু বউ দোলা কে? কোথায় থাকেন তিনি? এসব বিষয়ে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন রুবেল ভক্তরা। থেমে ছিলেন না সংবাদকর্মীরাও। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার মতো কিছুই হয়নি এমন দাবি রবেলের পরিবারের।
এনিয়ে রুবেলের বাবা সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে রোববার দুপুরে কথা হয় সাংবাদিকদের । বাগেরহাট পৌর শহরের পূর্ব বাসাবাটিতে রুবেল হোসেনের বাড়িতে গেলে ব্যাক্তিজীবনে ভীষণ সহজ সরল তার বাবা সিদ্দিকুর রহমান ও মা রবেজান বিবি সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন,রুবেলকে নিয়ে কিছু মানুষ অহেতুক মিথ্যাচার করছেন। আমরা রুবেলের বিয়ের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। রুবেল এখন খেলা নিয়ে ব্যস্ত। বিয়ে কোন খবর থাকলে অবশ্যই সবাইকে জানানো হবে। পারিবারিক ভাবেই আমরা ওর জন্য মেয়ে দেখছি। তবে তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভাণ্ডারিয়া এলাকায় একটি মেয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। সে বিষয়টিও রয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। যেহেতু ছেলে বড় হয়েছে। বিয়েতো একদিন দিতেই হবে। সময়ে সুযোগ মতো আমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করবো। তবে সবকিছুই আল্লাহর হুকুম ছাড়াতো হবে না।

আর কোনদিনই বিয়ে করবেনা হ্যাপি !

অন্যদিকে,  নতুন খবর হল হ্যাপি নাকি আর বিয়েই করবেন না।রোববার সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন হালের আলোচিত এই অভিনেত্রী।
গতকাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হ্যাপি জানান, রুবেল যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি রুবেলের যোগ্য নন। তুলে ধরেন আরও কিছু ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথা। হঠাৎ করে আবার রুবেলকে ঘিরে স্ট্যাটাস দেওয়ায় কেউ কেউ বলছেন আলোচনায় আসতেই হ্যাপি এ কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হ্যাপি বলেন, প্রচারণার আর কি আছে, যা হওয়ার তা তো আমার জীবনে হয়েই গেছে। নতুন করে আর কি করব। আসলে রুবেলের প্রতি আমার ভালোবাসাটা নিখুঁত ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই তাকে বোঝাতে চেয়েছে অন্তত এই মেয়েটাকে বিয়ে কর না। আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন ছুড়তে চাই। এতো কাদা ছোড়াছুড়ির পরও যে পরিবার তাদের মেয়েকে রুবেলের কাছে বিয়ে দিতে চায় সেই পরিবারের মান সম্মান কতটুকু তা আপনারাই ভেবে বলুন। রুবেল হয়তো আমার কাছে আর ফিরবে না কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসাটা থেকে যাবে। সবকিছু মন থেকে ভোলা যায় না। আমি যখন রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাই তখন সেই সব জায়গায় রুবেলকে ঘিরে অতীতের স্মৃতি নাড়া দেয়।
হ‌্যাপী আরও বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনও বিয়েই করব না। এই সিদ্ধান্ত কি ভবিষ্যতে ঠিক থাকবে। এ প্রশ্নের উত্তরে হ্যাপি বলেন, প্রয়োজনে কথাগুলো রেকর্ড করে রাখুন। ভবিষ্যতে যদি এ কথার হেরফের হয় তাহলে আমার সম্পর্কে যা ইচ্ছা তখন বলতে পারেন, লিখতে পারেন। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কখনই বিয়ের পিড়িতে বসব না।
তবে এটাও বলে রাখি, রুবেল সুখি হতে পারবে না। সংসার তো দূরের কথা ব্যক্তিগত জীবনেও অসুখী হবে। বাকিটা না হয় সময়ই বলে দিবে।

এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেলের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন আলোচিত মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি। শনিবার রাত সাড়ে দশটায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ডে এই চিঠি পোস্ট করেছেন হ্যাপি।পাঠকদের জন্য তার লেখা চিঠিটি হুবুহু তুলে ধরা হল :
রুবেল ,
আমি জানি আপনি খুবই ভাল আছেন। থাকাটাই মনে হয় সাধারণ ব্যাপার। আপনার মত মানুষ সবসময় ভালোই থাকে। আপনার আংটি বদল হয়েছে আমি আগেই জেনেছি। পাকিস্তান সিরিজ এর পর বিয়ে করছেন তাও জানি। যাকে বিয়ে করছেন তার বিষয়ে আপনি অবশ্যই অবগত আমিও অবগত আছি। তার নাম দোলা। বাগেরহাট এর মুনিগনজ বাড়ি। ক্লাস ৮ এ অধ্যয়নরত দুইবার জে,এস,সি তে ফেল। পাশ করতে পারছে না। বাগেরহাটে তার অনেক সুনাম বিশেষ করে ইয়াং ছেলেদের কাছে এক নামে পরিচিত। কারণ অনেক ছেলেদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর কারণে। দেখতে নাকি ভাল! এখন একটা কথা বলতে ইচ্ছা করছে, মাকাল ফল দেখার সাধ মিটেছে আমার। তবে একটা কথা আল্লাহ মানুষকে ভাল সময় এবং অর্থ দিয়ে পরখ করেন। হয়তো বা এটা আপনার বোধশক্তির বাইরে। সব মানুষই তার কর্মফল ভোগ করবে। মনে রাখবেন আপনিও মানুষ এবং অবশ্যই আপনি এই নিয়মের বাইরে না। আপনার জীবনে হয়তো আরো অনেক ভাল সময় আসবে হয়তো নিজের অন্যায় গুলো ও ভূুলে যাবেন। উপরে একজন আছেন তিনি কিছুই ভুলবেন না। আমার সাথে এত বড় অন্যায় আল্লাহ তায়ালা কিছুতেই সহ্য করবে না। আমিও দেখব আমার জীবনটা শেষ করে কতদিন ভাল থাকতে পারেন। মানুষের শরীরের কেটে যখম হলে আমরা দেখতে পারি কিন্তু ভেতরের খবর কেউ জানতে পারি না। আমার ভেতরটা আপনি একদম শেষ করে দিয়েছেন। আমি কাঁদলে চোখ থেকে শুধু পানি বের হয় না আমার হৃদয় যখম হওয়ার ব্লাড বের হয়। যা কাউকে দেখাতে পারি না। একটা মানুষ কথা বললে ,হেটে বেড়ালেই বেঁচে থাকা বলে না। আমাকে অনেক আগেই নিজ হাতে খুন করেছেন। আমি শুধু আল্লাহকে বলি তিনি যেন এই অন্যায় সহ্য না করে। আপনি আপনার বউকে নিয়ে কোন বাসায় থাকবেন! যে বাসার সবগুলো দেয়াল,আসবাবপত্র আমার ছোঁয়াতে অভ্যস্ত। আপনি কোন হাতে কারও হাত ধরবেন? যে হাত আমার হাত ছাড়া কিছু বুঝতো না! যে বুকে মাথা রাখার জায়গাটা শুধু আমার সেই জায়গাতে অন্য কেউ! বাহ! রুবেল বাহ! এত ভাল অভিনেতা দুনিয়া আর পাবে না। আল্লাহ এখনো কেন চুপ করে আছে? মনে রেখো আমার ভালবাসা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি তোমার বিচার তুমি পেয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ! একটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলে তুমি ভাল থাকতে পারবে না। আমার চোখের পানির মূল্য তোমাকে দিতেই হবে।
ইতি
হ্যাপি
Previous
Next Post »
Thanks for your comment