মনের অজান্তেই অনেক সময় মনে হয় যে, ‘ইশ যদি অদৃশ্য হতে পারতাম।’ তবে তা কি সম্ভব? এটাতো শুধুই কল্পনা মাত্র, এটির বাস্তবতা আদোও কি ভাবা যায় ! হ্যাঁ, এবার কল্পনাকেও বাস্তব রূপে পরিণত করবে বিজ্ঞানীরা ।
তবে এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি সিএনএনের এক খবরে কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানান, এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন যার ফলে অদৃশ্য হতে পারবে মানুষ, এমনকি কোনো বস্তু রাডারকে ফাঁকি দিতে পারবে।
কানাডার গবেষকেরা জানিয়েছেন, অদৃশ্য হওয়ার এ প্রযুক্তির নানা ব্যবহার রয়েছে। বিশেষত সামরিক ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব। অদৃশ্য হওয়ার এই প্রযুক্তি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সঙ্গে মানায়। তবে গবেষকেরা এ প্রযুক্তির উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন।
টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন তাতে ক্ষুদ্র অ্যানটেনা রয়েছে।
এ অ্যানটেনা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে এবং রাডার প্রযুক্তিকে ধোঁকা দিতে পারে।
‘ফিজিক্যাল রিভিউ এক্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা যে প্রযুক্তি তৈরি করছেন তা আগামীতে মানুষের চোখে বস্তুকে অদৃশ্য করতে সক্ষম হবে।
‘ফিজিক্যাল রিভিউ এক্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধে গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা যে প্রযুক্তি তৈরি করছেন তা আগামীতে মানুষের চোখে বস্তুকে অদৃশ্য করতে সক্ষম হবে।
বর্তমানে তাদের এই প্রযুক্তি কেবল বেতার তরঙ্গকে ধোঁকা দিয়ে রাডার থেকে বস্তুকে লুকিয়ে রাখতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, তাদের তৈরি প্রযুক্তিতে আলোক তরঙ্গ ঠেকানোর ব্যবস্থা যুক্ত হলে তা মানুষের চোখের সামনেও বস্তুকে অদৃশ্য রাখতে পারবে। গবেষকেরা এ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছেন।
অবশ্য অদৃশ্য পোশাক তৈরির প্রচেষ্টা এটাই প্রথম নয়। এর আগে মার্কিন ও জাপানের গবেষকেরাও অদৃশ্য আলখাল্লা তৈরিতে ভিন্ন ভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করেছেন যা এখনও উন্নয়নের পর্যায়েই রয়েছে।
গবেষকেরা আশা করছেন, সেদিন আর বেশি দূরে নেই যখন মানুষের চোখের সামনেই কোনো বস্তু থাকবে কিন্তু তা হবে অদৃশ্য।
ConversionConversion EmoticonEmoticon