ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানকে ৩-০ তে টাইগার বাহিনী বাংলাওয়াশ করার
কারণে ভারতীয়দের খুশি হবার চেয়ে আতংকিত হওয়া বেশি প্রয়োজন- এভাবেই শিরোনাম করা হয়েছে
ভারতের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ইন্ডিয়া টাইম্স এ। সামনে বাংলাদেশের সাথে ভারত খেলতে
যাচ্ছে, সেজন্য
বাংলাদেশকে ভারতীয়দের অবশ্যই ভয় পাওয়া উচিৎ বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে
প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হল।
বিশ্বকাপে ইন্ডিয়া সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়ার পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান
থেকে উভয় দেশের সমর্থকরা মুম্বাই এর বিসিসিআই অফিসে ভুয়া ফোন করে “মউকা মউকা” গান শুনিয়েছিলেন।
এ নিয়ে কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংবাদে ইন্ডিয়ার গণমাধ্যমগুলো সয়লাব
ছিল।
বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার ম্যাচ এ
যেখানে ভারত বিজয়ী হয়েছিল সেই ম্যাচে আম্পায়ারিং এর পক্ষপাতিত্ব এর কথা দাবী করা হয়।
বাংলাদেশের সেই হারের ক্রোধ পাকিস্তানের সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে
জয়ের মাধ্যমে খুব ভালভাবেই প্রকাশিত হয়েছে।
সিরিজে বাংলাদেশের আধিপত্যর আভাস রয়েছে। বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে
সিরিজে পাকিস্তানের তুলনায় ৮১ রান বেশি করেছে এবং একই সিরিজে ২৬ টি উইকেট নিয়েছে, দুইবার প্রথমে
বোলিং করে তাদের ২৫০ রানের মধ্যে অল-আউট করেছে। স্বাগতিকরা প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানে জয়
লাভ করেছে, দ্বিতীয়
ম্যাচে প্রায় ১২ ওভার বাকী থাকতে ৭ উইকেটে এবং তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১০ ওভার বাকী থাকতে
৮ উইকেটে জয় লাভ করেছে।
কিন্তু, ভারতীয়
ক্রিকেট ভক্তরা যারা বাংলাদেশ,
পাকিস্তানকে হারানোর জন্য আনন্দ উদযাপন করছেন, তাদের অনেক
বেশি আনন্দ উদযাপন না করাই ভাল। কারন, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের সাথে এ বছর জুনে ইন্ডিয়ার সাথে তিনটি ওয়ান
ডে ম্যাচ ও একটি টেস্ট খেলা রয়েছে। সর্বপরি, ভারতীয় খেলোয়াড়রা আইপিএল খেলার পর কিছু বড় তারকা খেলা থেকে কিছুদিনের
জন্য বিরতি নিবেন এবং এই সংক্ষিপ্ত সিরিজ থেকেও ছুটি নিবেন বলে চিন্তা করা হচ্ছে, যেমনটা গত
বছর হয়েছিল।
এখানে, বাংলাদেশের
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ যেসব মাইলস্টোন অর্জন করেছে, তার সংক্ষিপ্ত
বিবরণ দেয়া হল-
১. সিরিজে পাঁচটি সেঞ্চুরির দেখা মিলে, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি বাংলাদেশের। তন্মদ্ধে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান তামিমের দুইটি সেঞ্চুরি রয়েছে। সিরিজে একটি ম্যাচও এমন ছিল না, যেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান এর সেঞ্চুরি নেই।
১. সিরিজে পাঁচটি সেঞ্চুরির দেখা মিলে, যার মধ্যে চারটি সেঞ্চুরি বাংলাদেশের। তন্মদ্ধে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান তামিমের দুইটি সেঞ্চুরি রয়েছে। সিরিজে একটি ম্যাচও এমন ছিল না, যেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান এর সেঞ্চুরি নেই।
২. তামিম ইকবাল তিন ম্যাচে মোট ৩১২ রান করে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যে তিন ম্যাচের সিরিজে ৩০০ এর চেয়ে বেশি রান করেছেন।
৩. এ নিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশ র্যাঙ্কিং এর ৮ এর ভিতর থাকা দলকে
হোয়াইটওয়াশ করলো, সিরিজের
একটি ম্যাচও না হেরে। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিসকে এবং নিউজিল্যান্ডকে ২০১০ ও
২০১৩ সালে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছিল।
৪. পাকিস্তান এই প্রথম র্যাঙ্কিং এ ৮ এর নীচে থাকা কোন দলের কাছে
সিরিজের সব ম্যাচ হেরেছে।
৫. বাংলাদেশ তাদের হোম গ্রাউন্ডে এ পর্যন্ত একটানা ৮ টি ম্যাচে
জয়লাভ করেছেন। সামনে বাংলাদেশের সাথে ভারত খেলতে যাচ্ছে, তাদের বাংলাদেশকে
অবশ্যই ভয় পাওয়া উচিৎ।-সূত্র: ইন্ডিয়া টাইম্স।
ConversionConversion EmoticonEmoticon