আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নকআউট পর্ব। বিশ্বকাপের সত্যিকারের লড়াই এখন থেকে শুরু হচ্ছে। আর সবচেয়ে খুশি লাগছে এই প্রকৃত লড়াইয়ে আছে বাংলাদেশও। এই পর্বে হারলে আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতকে হারানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। ১৯ মার্চ মেলবোর্নে ভারতের সাথে বাংলাদেশের খেলা। নিঃসন্দেহে নকআউট পর্বের ওই ম্যাচে ভারত শক্তিশালী। ফেবারিটও তারা। তবে বাংলাদেশের সামনে ভারতকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ। আমরা যে শুধু সিরিজের ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছি তা নয়, টুর্নামেন্টেও একাধিকবার তাদেরকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছি। একটি ২০০৭-এর বিশ্বকাপে। অন্যটি ২০১২-এর এশিয়া কাপে। টুর্নামেন্টে জেতার গুরুত্বটা অন্য রকম। টাইগারদের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক বেশি। তারা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তো সারাক্ষণই ম্যাচটি ফিফটি-ফিফটি ছিল দুই দলের জন্য। অল্পের জন্য জেতা হয়নি কিউইদের বিপক্ষে। তবে অমন হারই এখন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জানিয়ে দিয়েছে, তারা যদি ৩ শ’ করতে পারে তাহলে কোনো দলের পক্ষেই তা চেজ করে জেতাটা মোটেই সহজ হবে না, যা করতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ড। তারা ৩ শ’ করেও জিততে পারেনি। ভারত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ব্যাটিং লাইনআপের দল। সাথে যুক্ত আছে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সাহসিকতা। তার মানসিক দৃঢ়তা অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যেও সঞ্চার করে। সব মিলিয়ে ভারত অনেক শক্তিশালী দল। তার পরও আমি দৃঢ়তার সাথে বলব, তাদেরকে ধরাশায়ী করার ক্ষমতা মাশরাফিদের বর্তমান। বাংলাদেশ দল এখন অনেক শক্তিশালী। তবে জিতলেও অত সহজে তা পারবে না ভারত।
Next
« Prev Post
« Prev Post
Previous
Next Post »
Next Post »
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ConversionConversion EmoticonEmoticon