পঞ্চাশ বা ষাট বছরে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে করলে পাড়া মহল্লায় হৈ-হৈ রৈ-রৈ পড়ে যায়। আর বয়স যদি হয় ১০০ বছর এবং বিয়ে যদি হয় দশম বিয়ে তাহলে কেমন হবে? হ্যা, এমন চাঞ্চলকর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌর সদরের কাপুরিয়া সদরদী গ্রামের শেখ ওয়াজেদ ফকির।
শত বছর বয়সে রীতিমতো বর সেজে দশম বিয়ে সম্পন্ন করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন তিনি। গত সোমবার একই উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের ইনাজউদ্দিন সরকারের মেয়ে মমতাজ বেগমকে (৪৫) ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেছেন। মঙ্গলবার ভোর হতেই শত শত উৎসুক জনতা নবদম্পতিকে একনজর দেখতে ভিড় জমাতে থাকে তার বাড়িতে।
শেখ ওয়াজেদ ফকির বলেন, ‘প্রথম স্ত্রী আমেনাকে হারানোর পর থেকে সংসার চালানোর জন্য এ পর্যন্ত ফুলি বেগম, কুলছুম বেগম, আমিরন নেছা, হাছিনা বেগম, জমিরন বেগম, জরিনা বেগম ও নিহার বেগমসহ নয়টি বিবাহ করেছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা যায়, অপর চারজন আমাকে ছেড়ে চলে যায়।’
তিনি জানান, সংসার করা অবস্থায় সাতটি সন্তান জন্ম দিলেও নুরুল হক নামের বাকপ্রতিবন্ধী একটি সন্তান ছাড়া সবাই মারা গেছে। ৪ মাস আগে সর্বশেষ স্ত্রী নিহার মারা যাওয়ার পর একজন সঙ্গীর জন্যই এই দশম বিয়ে। সেখ ওয়াজেদ ফকির তার বয়স শত বছর পূর্ণ হয়েছে বলেও জানান।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার এত বয়স হওয়ায় আমার চলতে ফিরতে খুবই কষ্ট হয়। আজ পর্যন্ত সরকার আমাকে বয়স্ক ভাতা দেয়নি। অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে যুদ্ধ-পরবর্তীতে একটি নৌকা দিয়েছিলেন জীবিকা নির্বাহের জন্য। সে নৌকাটি এখন আর নেই।’
অপরদিকে তার দশম বধূ মমতাজ বেগম বলেন, ‘বাকি জীবন যেন আমি তেনারে সাথে নিয়ে বাঁচতে পারি, সে জন্য দোয়া করবেন।’
ConversionConversion EmoticonEmoticon